ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পৌরসভায় ড্রেইন নির্মানে কাজে অনিয়ম ও পক্ষপাতের অভিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::pc chakaria
চকরিয়া পৌরসভার এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ৪ কি.মি. ড্রেইন নির্মানের কাজে ঠিকাদারের ব্যাপক অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। সঠিক নিয়মে কাজ না করে আত্মীয় প্রতীর পক্ষ নেয়ায় কোন জায়গায় বড় আর কোন জায়গায় ছোট করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের কাজে হস্তক্ষেপ বা বাঁধা প্রদান না করায় পৌরবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, চকরিয়া পৌরসভার এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ৪ কি.মি. ড্রেইন নির্মানের কাজে চলছে।
প্রাথমিক ভাবে কোরক বিদ্যাপিঠ থেকে শুরু করে ফুলতলা হয়ে উকিল পাড়া-থানা সেন্টার হয়ে খোদারকুম পর্যন্ত  যে ড্রেইন নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। পৌরবাসীর  দীর্ঘদিনের স্বপ্নের আধুনিক এ ড্রেইনেজ ব্যাবস্থার উদ্যোগ যখন আলোর মুখ দেখতে শুরু করে ঠিক মুহুর্তে লুটরাজ চক্রের হস্তক্ষেপে কাজে চলছে অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয়। এ চক্রটি উন্নয়নের কাজকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ভাগভাটোরার ফায়দায় মেতে উঠে।
চকরিয়া পৌরসভার-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিপা এন্টারপ্রাইজ অসংখ্য লোকবল দিয়ে প্রায় স্থানে সু-প্রসস্থ এবং যথাযথ নিয়মে ড্রেইনের কাজ চললেও স্বপ্নপুরী ক্লাব হয়ে উকিল পাড়া- থানা সেন্টার পর্যন্ত  ড্রেইনের কাজে ব্যাপক  অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে জানা যায়, একদিকে ৫/৬ ফিট এবং অন্যদিকে ৪/৫ফিট ড্রেইন নির্মান, কোথাও স্বভাবিক আবার কোন স্থানে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ড্রেন ছোট করে স্ব স্ব এলাকাবাসীর কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে।
দেখা গেছে, উকিল পাড়া এসে ঠিকাদারের লোকজন ড্রেইনের জন্য এমইএসের পর্যাপ্ত পরিমান যায়গা থাকলেও মুল সড়কের উপর কাজ করে যাচ্ছে। এতে করে সড়কটি আগের চেয়ে অনেক ছোট হয়ে যাচ্ছে।
সুত্র জানায়, প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ২০ কোটি টাকার এ প্রকল্প কাজে কারো বাড়ী-ঘর এবং দোকান পাট রক্ষার চেষ্টা চলছে। সড়কের পুর্ব পার্শ্বে পর্যাপ্ত যায়গা থাকলেও কামলারা সড়কের পশ্চিম দিকে এস্কেভেটর দিয়ে মুল সড়ক খুড়েঁ চলাচলের রাস্তা ছোট করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে যা সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। দেখা গেছে, ৪ কি.মি. সড়কের পার্শ্বে যদি একই নিয়মে ড্রেইনের কাজ চলে আসে তবে শুধুমাত্র স্বপ্নপুরী ক্লাব হয়ে উকিল পাড়া থেকে থানা সেন্টার পর্যন্ত রাস্তা কেন ছোট হবে? এ প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের হস্তক্ষেপ নাই বললে চলে। এমনকি পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী প্রতিদিন পৌর সভায় দায়িত্ব পালন করতে গেলেও গাড়ি থেকে নেমে অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে কোন দেখাবার করছেনা।
পৌরসভার বেশ কিছু সচেতন মহল অভিযোগ করছেন, বর্তমান কাজ চলাকালে অনিয়ম ও দূর্নীতি গুলো যদি পৌর কর্তৃপক্ষ না দেখে তা হলে আগামীতে পৌরবাসীকে এ অনিয়মের খেসারত পোহাতে হবে। এ ব্যাপারে পৌরবাসী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। ##

পাঠকের মতামত: